Tuesday, January 19, 2016

হাতরে বেড়াই উরালপুলে

দু দন্ড আশ্রয়ের খোঁজে 
হাতরে বেড়াই উরালপুলে ..
ওই নীল জামা গায়ে 
অতি পরিচয় ..
ভ্রুকুটি হয়ে চক্ষু মলিন ..
এই তো সেদিনেরই কথা..
মাঝে হাজার ব্যবধানের ব্যথা
তুমি আছো অথচ তুমি নেই..
এই খারাপ লাগার
আর কোনই ছলনার হিসেব জানা নেই ..
ভালো থাকো তুমি
যত দুরেই থাকি আমি..
ভালবাসি তোমায়
এটুকুই আমি জানি...

সুধুই তুমি

এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের মাঝে 
ছুটে বেড়ানো বুলেটিন এর ভাজে
 খবরে খবরে ছয়লাপ তুমি..
তবুও বুকের ওই কোনটার.. ঠিক মধ্য খাঁজে
একটা নিশ্বাস এখনও বাঁজে
তরলোতায় স্নিগ্ধ তুমি ..
আবার আসো ফিরে.. বারে বারে
বুকের ভিতর ওই .. বেদনার ভিড়ে
নাক রগরে নাকটি ডুবিয়ে
তোমার স্পর্শ ওখানেই থাক ..
থাকবেও তুমি যেমনি আছ
প্রলেপে ভরা মিষ্টি মধুর
একই যন্ত্রণার পিপাসিত সুর
পাওয়া না পাওয়ার মাঝে
সুধুই তুমি...

Saturday, January 16, 2016

ট্রাম লাইন এর পাশ দিয়ে

ট্রাম লাইন এর পাশ দিয়ে ...সে ট্রামটার সাথে ছুটতেই থাকলো ...
হঠাত করেই তার নজরে পরেছিল
সেই পরিচিত মুখের আদল.. সেই বহুকালের পরিচয়..
মেয়েটি ট্রাম এর জানলার পাশে মাথা হেলিয়ে সোজা তাকিয়ে আছে
দৃষ্টি তার আবছা ... মাথায় কালো ওরনা দিয়ে ঢাকা --
এক মুহূর্ত ট্রাম এর স্টপ ...
তবুও গালের কাটা চিন্হটা যেন তার অতি পরিচিত ...
ভাবতে ভাবতেই ট্রাম গতি নিলো.. ছোটতে ছুটতে দম হারালো সে
আবার হারিয়ে গেল তার স্বপ্নের রাজকন্যে ........
তারই হাতের বাঁশের চেলা ছিটকে লেগেছিল তার গালে
বহু বছর আগে... বোধয় পনেরো ষোলো বছর হবে ..
সরস্বতী পুজোর আগের দিন মন্ডপ সাজানোর উচ্ছাসে
মেয়েটি এসেছিল তাকে দেখতে.. সুধুই তাকে দেখতে...
তাদের দুই কাকার মধ্যে খুব ভাব..
মেয়েটিও ছোট থেকে দেখেছে তাকে তাদের বাড়িতে আসতে
মা নারু মুড়কি খেতে দিত বারান্দায় মাদুর পেতে..
ভালো লাগত তার ছেলেটিকে ....আর ছেলেটির সাথে
ছোট ছোট কাঁচের লাল নিল হলুদ সবুজ গুলি নিয়ে খেলতে ..
ভালোলাগা একটা অন্য মাত্র নিয়েছিল বড় হবার সাথে সাথে
সরস্বতী পুজোর দিন তাই পালিয়ে এসেছিল সে মন্ডপ সাজানো দেখতে..
বাঁশের কনচিটি ছিটকে যেতেই ফুটে গেল তার নরণ নরম গাল
একচিলতে ফিনকি দিয়ে রক্ত সোজা বেরিয়ে মুখ লালিমায় লাল ..
ছেলেটি অবাক ওর স্থির দৃষ্টির দিকে
কি করবে ভেবে না পেয়ে ছুট্টে পালালো পাশের বাড়ি থেকে অসুধ আনতে..
মেয়েটিও তার হিজাবে রক্ত দেখে ভয় থর থর কাঁপতে কাঁপতে বাড়িতে ছুটলো ..
ছোটকা কে গিয়ে বলল, ছোটকা একটু চুন আনিস তো ..
..গালে একটা বড় ফোড়া হয়েছে লাগাবো..|

Friday, January 15, 2016

কৃষ্ণচুড়ার লাল ফুল

আলগোছা বেণী টি ঝুলিয়ে মেয়েটি চলল আপন মনে
ছেলেটি কিছুটা দুরে তাকে অনুসরণ করলো কিছুক্ষণ
পুকুর ধারটা দিয়ে এসেই ছেলেটি একটি ইট তুলে 
বাংবাজি দেখালো.. ঝপাস ঝপাস আওয়াজে --
মেয়েটি ফিরে তাকালো..
ফিক করে হেসেই কৃষ্ণচুড়ার লাল ফুলের দিকে হাত বাড়ালো..
ছেলেটি তর তর করে উঠে গেলো পাশের বাড়িটির ছাদের কার্নিশে
হাত বাড়ালেই কৃষ্ণচুড়ার ডাল..
নিচু হয়ে ঝুঁকে ডালের একটা অংশ কাছে .. একদম কাছে নিয়ে আসলো
মচাত করে ভাঙ্গলো লালে লাল কৃষ্ণচুড়ার ডাল..
আনন্দে এক গাল হেসে তাকালো তার স্বপ্নের রাজকন্যার দিকে
ছুটে আবার ছাদের কার্নিশ বেয়ে নেমে আসতে গেলো...
কার্নিশ শেওলা রঙ্গে সবুজ পিছল
হঠাত একটু জোরে দৌড়ে ছুটতে.. পা পিছলে পুরো একতলা উঁচু কার্নিশ থেকে
ঝোপ করে পরে গেলো সে বাড়ির ছোট পাঁচিলের উপরে
তারপর চিত হয়ে রাস্তায় এসে পড়লো..
মেয়েটি ছুটে গেলো দেখতে বুক তার অসম্ভব দাপরাছে --
ছেলেটির হাসি মুখ নিথর স্থির
চোখ আধ খোলা হাসি হাসি
মাথার পেছনে রক্তের নদী বয়ে যাচ্ছে
হাথের মুঠোয় কৃষ্ণচুড়ার লাল ফুল .............

Wednesday, January 13, 2016

পাথর

কতোদিন পর দেখলাম তাকে 
ঝিলের ধারে.. গাছের ফাঁকে -
অংটিতা ওখানেই কোথাও পরেছিল..
হেরিকেন জালিয়ে অন্ধকারে খুঁজেছিলাম
জল জল করছিল নীলচে পাথরটা
কৃষ্ণের চেও নীল কস্থী পাথর -
তুমি হঠাত পাথর হয়ে গেলে কেন বলো তো
গাছের ফাঁক দিয়ে একবারো ফিরে তাকালেনা...

স্বপ্নে বার বার এসো

হাতটা ফুলকাটা নকশী করতে করতে থেমে গেলো ..
তুমি এসে দাড়ালে.. ভুলিয়ে দিলে ফুলের আলগোছা বাধনের মায়াটা -
আমি তো চোখ মেলে তাকালাম ও না তোমার ছায়ার দিকে 
 সুধু এক দীর্ঘনিশ্বাস স্তব্ধতা ভাঙ্গলো...
এমনি স্বপ্নে বার বার এসো.. দেখা হবে |

Sunday, January 10, 2016

arekbar banchbo

লাল পরী নীল পরীদের দেশে
ঠাকুমা যেনো আবার ফিরল এসে -
রাক্ষস বধে শত্রু নাশ
আমরাই করি যত হা হুতাশ -
দেখবে কিনা মরচে মুখ
হাসি ঠাট্টার নীলচে সুখ -
এই হাসিতেই জীবনের দান
আরেকবার বাঁচার স্প্ফুরণ গান ....

Friday, January 8, 2016

একটি লাল golap

দিনের শেষে কবিতা হয়ে ফিরতে চাই
কতকগুলো শব্দের নানারকম হাতছানি হয়ে 
মিক্সড চাট এর মত flavour নিয়ে -
আমরাই করি মাতামাতি আবেগগুলোর ..
ওগুলোতো তো ঘুম পারালেই বেশ থাকে
এপাশ ওপাশ ফিরে স্বপ্নের দেশে যায় পালিয়ে |
আরেকবার কেন ঘুম আসেনা স্নায়ুর
তোমার ওই একটি লাল গোলাপের আশায়...

Thursday, January 7, 2016

তোমায় দিলাম অজস্র ভালবাসা ..

ভালো না লাগার অনেক গুলো কারণের মাঝে
তোমাকে কাছে না পাওয়ার ব্যথাটা তীব্র -
ভালোবাসি বলেই মনের মেঘ
জমে জমে হয় কালো -
আর আমিও যেন
ওই মেঘের আড়ালে শুন্যতা ভাসাই বুকে-
একবারো কেন তির্যক চাউনি মিলল না কেড়ে নজর...
পাস দিয়ে হেটে চলে গেলে- তবুও দেখলে না ফিরে একবারো-
আমি কি তোমার এতটাই পর, ভালবাসার বুকের গর্জন যে তোমারো..|

kobita

কথা যখন কবিতা হয়ে বেরয়
বুকের মাঝে ব্যথা অনুভব করি
তুমি কি ওখানেই বাস করো...
ভালবাসার কঠিন ছলে
আরো একবার কেন এলে না ফিরে -
আমিও যে ভাবি একাকী ..
আজ তুমি রঙিন আলোয়
সুধু ফাঁকা মাঠে আমাদের জোনাকি..
এই নীয়ন দ্যুতির ঝলসানি
আর তীব্র নেশার জলখানি
বুকের মাঝে ব্যথা .. তাই তো আমার কবিতা...

Tuesday, January 5, 2016

kobita

যন্ত্রণা যদি প্রেম হয়..
প্রেমেই পরি যেন বার বার..
তোমার দেখা যদি এখানেই পাই..
তারই সাধ রাখি বারংবার...
তুমি দিলে ধরা আমার
মনের মাঝে--
আবার মন তোমাকেই
চারিদিক খোঁজে..
হেয় প্রিয়তম আগ্নেয়গিরি বড়ো
প্রেম যমুনায় শীতল করো
আরো একবার ..বার বার বলো
তোমায় ভালবাসি চিরতরে তর......

kobita

ভাষা যদি কবিতা হয়ে বেরয়
তাহলে কি ভাষার অপরাধ..
আমি যদি তোমায় নিয়ে চলি
তাহলেই কেন যতো অপবাদ ..
হাতটিতে হাত একবারই রেখে 
শত ক্রোশ পথ চলা শুরু..
সেই পথ চলতি পথে
আমার বুকের মাঝে দুরুদুরু ..
এটুকুই তো ক্ষণিকের মন
ভেসে যায় বারংবার তার দিকে..
সুধুই কি প্রতিবিম্ব
ভাঙ্গা আরশির চারিদিকে..
যে হাত কেটেও কাটে না
আরো একবার হাতটি তাহলে
কষে চেপে ধরো না ..